মনোজাগতিক শিকল:
মনোজাগতিক শিকল ব্যাপারটা নিয়ে প্রায় ই ভাবি। প্রথম কথাটি শুনি মহাজাতকের "কোয়ান্টাম মেথড" কোর্সটা করতে যাওয়ার সময়. মানুষ তার মনের শক্তিকে ব্যবহার করে করতে পারে আপাত দৃষ্টিতে অসাধ্য সাধন, করতে পারে বিশ্ব জয়. আমরা ভাবনা সেখানে না, আমার ভাবনা হলো একটা মুক্ত চিন্তা করা প্রসঙ্গে। মানুষের মস্তিষ্কে রয়েছে অযুত নিযুত লক্ষ কোটি নিউরোন/ যে নিউরোন সাহায্য করে এক সেল থেকে অন্য সেল এ সংযোগায়ণে। মস্তিষের এই যে বিপুল ক্ষমতা সেই ক্ষমতা কিন্তু দেয়া হয়েছে তাকে কাজে লাগানোর জন্য। একটা পাখি আকাশে উড়ে যাচ্ছে, সীমাহীন তার ব্যাপ্তি। সে হয়তো যাচ্ছে সামান্য খাবারের ই খোঁজে। কিন্তু আমাদের চিন্তাটা তো নিয়ে যাচ্ছে আমাদেরকে কোন সুদূরে যেখানে লক্ষ কোটি বছর ধরে প্রাণী কে তার অন্ন সংস্থান করতে হয় টিকে থাকার তাগিদে। ছোট বেলায় ছাদে গেলে দূরের গাছগুলো দেখতাম আর মুহূর্তেই উদাস হয়ে যেতাম। ইশ! ঐ জায়গাটা কি না জানি কেমন! কত দূর! অথচ হয়তো দেখা যাবে বেশী দূরে নয় জায়গাটা আমাদের বাসা থেকে।
যে কোনো ঘটনাকে আমাদের স্বার্থের point of view থেকে দেখাটা একটা কাজ. কাজ তো বটেই। ও আমার কথাটা boss কে যেয়ে এমন ভাবে বললো, boss আমার উপর ক্ষেপে গেলো। দাঁড়া, situation আসুক আমিও তোকে দেখিয়ে দিচ্ছি, বা দরজা বন্ধ করে boss কে ওর সম্পর্কে বলবো, আবার দরজা খুলে ওকে দেখেই হাসবো যাতে বুঝতে না পারে, ও যদি কোনো কাজের সুযোগ পায় , যদি নিজেকে তুলে ধরার সুযোগ পায় তাহলে তো আমার position নষ্ট হয়ে যাবে, সেটা কিছুতেই হতে দেয়া যাবে না, flourish করবো শুধু আমি, শুধু আমি. ওর তেমন কোনো সামাজিক মর্যাদা, টাকা পয়সা নেই. দাওয়াতে যেয়ে ওর সাথে যদি বেশী কথা বলি, মর্যাদা থাকবে? উঁচু দরের মানুষরা আমাকে কদর করবে? নাহ, একটু সরে বসি.
বড় কঠিন কঠিন সব শর্তে বাঁধা আমরা। যেখানে শুধু স্বার্থের ই জয় হয়. মানবতার নয়.
আমরা সবাই মহাকালের এক একটা entity কারো মূল্য কারো কাছ থেকে কম নয়. "ভাসানী নভ থিয়েটার" এর বিশ্ব ব্রহ্মান্ড সৃষ্টির কিছু ভিডিও দেখেছিলাম। কত বিপুল কর্মকান্ড! ঘটে চলেছে আমাদের ই চারপাশে,মহাকাশে। আর আমরা আছি কেবল ক্ষুদ্র স্বার্থ নিয়ে! অনন্ত জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ আমরা সবাই, বাকি সব ক্ষুদ্র স্বার্থ, ক্ষুদ্র মনে হয়, শূন্য মনে হয়.
মনে হয়
থাক তবে রয়ে যাক
কিছু গ্লানি,
হৃদয় অতল ছিন্ন করে
বয়ে যাক মধুময় স্রোতস্বীনি/